গবেষণা: গবেষণার সংজ্ঞা, ধারণা ও প্রকারভেদ

গবেষণা: গবেষণার সংজ্ঞা, ধারণা ও প্রকারভেদ

গবেষণা: গবেষণার সংজ্ঞা, ধারণা ও প্রকারভেদ

গবেষণার সংজ্ঞা:

কোনো সমস্যার বিপরিতে গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে বের করার জন্য পরিকল্পিত ও সংঘবদ্ধ উপায়ে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি প্রয়োগে ধারবাহিকভাবে উপাত্ত সংগ্রহ করে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ করার বুদ্ধিবৃত্তিক প্রক্রিয়াকে গবেষণা বলে।

গবেষণার ধারণা

গবেষণা কথাটির সাথে ‘কোনো কিছু খোঁজা’ বা ‘অনুসন্ধান’ জড়িত রয়েছে। যদি ‘গবেষণা’ শব্দের দিকে লক্ষ্য করা হয় তাহলে দেখা যাবে এটি ‘গো’ এবং ‘এষণা’ শব্দ দুইটির মিলিত রুপ।

এখানে ‘গো’ শব্দটির অর্থ পৃথিবী এবং ‘এষণা’ শব্দটির অর্থ হলো অনুসন্ধান করা। এ হিসেবে গবেষণার অর্থ হলো পৃথিবী অনুসন্ধান।

তাহলে পৃথিবী অনুসন্ধান মানে কী? পৃথিবী অনুসন্ধান হলো- পৃথিবী, পৃথিবী সংশ্লিষ্ট বিষয়, পৃথিবীতে অস্তিত্ব, পৃথিবীতে বিচরণ করা করছে এমন সকল জীব, পৃথিবীতে একে অপররের ওপর নির্ভরশীলতা, পৃথিবীর নানান সমস্যা ইত্যাদি বিষয়ে কী, কেন, কোথায়, কীভাবে, কতটুকু ইত্যাদি প্রশ্নের অনুসন্ধান করা।

‘গো’ শব্দের আরেকটি অর্থ হলো কিরণ বা আলো। এ হিসেবে ‘গো’ এবং ‘এষনা’র মিলিত অর্থ। অর্থাৎ ‘গবেষণা’ শব্দের অর্থ দাঁড়ায় ‘আলোর অনুসন্ধান’।

আলোর অনুসন্ধান মানে কী? এখানে কেন আলোর অনুসন্ধান করতে হবে? ‘গবেষণা’ প্রত্যয়টির মাধ্যমে কোন আলোর কথা বলা হয়েছে? সত্যিকার অর্থে এখানে যে আলোর কথা বলা হয়েছে তার সাথে সত্য, তথ্য ও যুক্তির আলো।

অর্থাৎ উপাত্ত বা তথ্য ও যুক্তির মাধ্যমে কোনো সত্যকে খোঁজার নাম হলো গবেষণা।

আবার বাংলাদেশের অনেক আলোচক ‘গবেষণা’ শব্দকে ‘গোরু খোঁজা’র সাথে তুলনা করছেন। তাঁদের যুক্তি হলো- যেহেতু ‘গবেষণা’ শব্দটি ‘গো’ ও ‘এষনা’র মিলিত রূপ এবং অভিধানে ‘গো’ শব্দের অন্য একটি স্পষ্ট অর্থ হলো গোরু, পাশাপাশি ‘এষণা’ মানে হলো অনুসন্ধান।

এ হিসেবে তাঁরা বলছেন যে, গোরু হারিয়ে যাওয়া মানে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হওয়া আর সে হারিয়ে যাওয়া গোরু ফিরে পাবার জন্য খোঁজা হলো ওই সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করা। এ হিসেবে সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া অনুসন্ধান হলো গবেষণা।বাংলা ‘গবেষণা’ শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো ‘research’। Research শব্দটি দুটো আলাদা শব্দ ‘re’ এবং ‘search’ এর মিলিত রুপ।

আক্ষরিকভাবে এর অর্থ দাঁড়ায় পুনরায় অনুসন্ধান করা বা আবার খোঁজা। যেহেতু re শব্দের অর্থ পুনরায় বা আবার এবং search শব্দের অর্থ অনুসন্ধান করা বা খোঁজা।এখানে একই বিষয় পর্যায়ক্রমিকভাবে বা ধারাবাহিকভাবে বারবার অনুসন্ধানের কথা বলা হয়েছে। এই হিসেবে গবেষণা হলো কোনো কিছু সম্পর্কে ধারাবাহিকভাবে অনুসন্ধান প্রক্রিয়া।

উল্লেখ্য, শাব্দিকভাবে re-search এবং research এর মধ্যে পার্থ্ক্য রয়েছে। Re-search (রি-সার্চ) অর্থ পুনরায় বা আবার খোঁজা। Research (রিসার্চ) অর্থ পদ্ধতিগত অনুসন্ধান প্রক্রিয়া।বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি অবলম্বন করে বিশেষ কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য বস্তুনিষ্ঠ ও সঠিক উপাত্ত আহরণ করে তা বিচার-বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার প্রক্রিয়া হলো গবেষণা।গবেষণার প্রকারভেদউদ্দেশ্য, গভীরতা, বিশ্লেষণ, সময়, উপাত্ত ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে গবেষণা বিভিন্ন রকমের হতে পারে, নিম্নে এগুলো উল্লেখ করা হলো-উদ্দেশ্য অনুসারে গবেষণাউদ্দেশ্য অনুসারে গবেষণা দুই ধরর

১. তাত্ত্বিক গবেষণা (Theoritical Reseach)

যে পদ্ধতিগত অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবহারিক প্রয়োগ নির্বিশেষে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করা হয় তাকে তাত্ত্বিক গবেষণা বলে। তাত্ত্বিক গবেষণাকে বিশুদ্ধ গবেষণা (Pure Research), মৌলিক গবেষণা (Fundamental Research), প্রাথমিক গবেষণা (Primary Research) নামে চিহ্নিত করা হয়। তাত্ত্বিক গবেষণা বা মৌলিক গবেষণার উদ্দেশ্য হলো নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করা।যে ক্ষেত্রে কখনো গবেষণা হয়নি সে ক্ষেত্রে গবেষণা পরিচালনা করা অথবা পূর্বে গবেষণা করা হয়েছে কিন্তু সেখানে বিশেষ পরিবর্তন বা নতুন কিছু সংযোজনের জন্য যে গবেষণা পরিচালিত হয় তা হলো মৌলিক গবেষণা বা তাত্ত্বিক গবেষণা।

২. ফলিত গবেষণা (Applied Research)

যে গবেষণার মাধ্যমে তাত্ত্বিক বা মৌলিক গবেষণা থেকে প্রাপ্ত জ্ঞানকে বাস্তবক্ষেত্রে প্রয়োগের উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয় তা হলো ফলিত গবেষণা। ফলিত গবেষণার উদ্দেশ্য হলো তাত্ত্বিক গবেষণা বা মৌলিক গবেষণালব্ধ জ্ঞানের বাস্তবিক প্রয়োগ।

ফলিত গবেষণা দুই ধরর, যথা

i. প্রযুক্তিবিষয়ক ফলিত গবেষণাপ্রযুক্তিবিষয়ক ফলিত গবেষণা সাধারণত যন্ত্র, যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ সম্পর্কিত হয়ে থাকে। উৎপাদনমুখী কাজে কীভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার করা যায় বা ত্রুটিমুক্তভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় ইত্যাদি উদ্দেশ্য নিয়ে যে ফলিত গবেষণা পরিচালিত হয় তাকে প্রযুক্তিবিষয়ক ফলিত গবেষণা বলে।

ii. বৈজ্ঞানিক ফলিত গবেষণাবৈজ্ঞানিক ফলিত গবেষণা পরিচালিত হয় পূর্বানুমানের ভিত্তিতে। যে ফলিত গবেষণার উদ্দেশ্য হলো কোনো বিশেষ জিনিসের (পণ্য বা যে-কোনো কিছু) ব্যবহার উপযোগিতা এবং পরিবর্তনশীলতা নির্ণয় করা তা হলো বৈজ্ঞানিক ফলিত গবেষণা।গভীরতা ও ক্ষেত্র অনুসারে গবেষণার প্রকারভেদগবেষণার গভীরতা ও ক্ষেত্র অনুসারে মোটামুটিভাবে চার ধরনের হয়ে থাকে, যথা

১. অনুসন্ধানী গবেষণা বা অন্বেষণমূলক (Exploratory Research)

পূর্বের কোনো গবেষণা হতে প্রাপ্ত জ্ঞান স্পষ্টভাবে বোঝা না গেলে বা তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারলে, ওই বিষয় বা জ্ঞানের ওপর স্পষ্ট ধারণা অর্জন ও তার সঠিক ব্যবহার জানার জন্য যে পদ্ধতিগত বিজ্ঞানভিত্তিক ধারাবাহিক অনুসন্ধান প্রক্রিয়া পরিচালিত হয় তাকে অনুসন্ধানী গবেষণা বলে।কোনো বিষয়ের ওপর পূর্বে পর্যাপ্ত গবেষণা পরিচালিত না হলেও সেক্ষেত্রে অনুসন্ধানী গবেষণা করা যায়। অনুসন্ধানী গবেষণা অনেকাংশেই তত্ত্ব ও সংগৃহীত নির্ভর হয়ে থাকে।

২. বর্ণনামূলক গবেষণা (Descriptive Research)

সমাজবিজ্ঞান গবেষণা শাখায় বহুল পরিচিতি একটি গবেষণা হলো বর্ণনামূলক গবেষণা। এতে নির্দিষ্ট সময়, ঘটনা, বিশ্বাস, প্রবণতা, প্রতিক্রিয়া, দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি বিষয়ের ওপর বর্ণনা করা হয়। এ ধরনের গবেষণায় অনেক সময় পর্যাপ্ত উপাত্ত সংগ্রহ এবং অনুসন্ধান বা তদন্ত না করেই ফলাফল প্রদান করা হয়।বর্ণণামূলক গবেষণা আবার বিভিন্ন ধরর হতে পারে, যেমনi. জরিপ গবেষণাকোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে অনেকগুলো সমস্যা বা বিষয়বস্তুর ওপর ব্যাপক পর্যবেক্ষণ ফলাফল থেকে গাণিতিক বা পরিসংখ্যানিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের মাধ্যমে তথ্য উদ্ঘাটন করে অনুমিত সিদ্ধান্তের সত্যতা যাচাই হলো জরিপ গবেষণা। এটি পরিমাণগত গবেষণারও অন্তর্ভুক্ত।ii. কেইস স্টাডিকেইস স্টাডি (Case Study) এর বাংলা অর্থ হলো ঘটনা বিশ্লেষণ বা বিষয়ী অনুধ্যান। কেইস স্টাডির আরেক নাম জীবনেতিহাস। কেইস স্টাডি হলো সামাজিক একেকটি একক যেমন কোনো বিষয়, ব্যক্তি, দল, সমষ্টি, প্রতিষ্ঠান, ঘটনা ও অবস্থা সম্পর্কে জানার একটি প্রক্রিয়া।iii. কর্মসহায়ক গবেষণাকর্মসহায়ক গবেষণা মানে হলো এমন এক প্রকারের গবেষণা যা তাৎক্ষণিক সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে করা হয়।

৩. ব্যাখ্যামূলক গবেষণা (Explanatory Research)

বর্ণনামূলক গবেষণাকে ভিত্তি করেই ব্যাখ্যামূলক গবেষণার উৎপত্তি। বর্ণনা এই গবেষণার প্রধানতম বৈশিষ্ট্য হলেও ব্যাখ্যাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। আধুনিক গবেষণায় যত পদ্ধতির বা যত প্রকারের গবেষণা প্রচলিত, সে সবের মধ্যে বর্ণণামূলক গবেষণা অন্যতম।যে গবেষণার মাধ্যমে কোনো কিছু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে কারণ ও প্রভাব (cause-and-effect) সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় তাকে ব্যাখ্যামূলক গবেষণা বলে।

৪. সম্পর্কযুক্ত গবেষণা (Correlational Research)যে বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে একাধিক চলকের মধ্যে সম্পর্ক চিহ্নিত করা হয় তা হলো সম্পর্কযুক্ত বা কোরিলেশনাল গবেষণা (correlational Research) । ব্যবহৃত উপাত্ত অনুসারে গবেষণার প্রকারভেদগবেষণায় ব্যবহার করা উপাত্ত অনুসারে গবেষণা তিন ধরনের। যথা-

১. গুণগত গবেষণা (Qualitative Research)

গুণগত গবেষণা সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা ধারার সম্ভবত সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি। যে গবেষণায় প্রয়োজনীয় উপাত্ত সরাসরি (first-hand) পর্যবেক্ষণ, সাক্ষাৎকার, প্রশ্নমালা, ফোকাস গ্রুপ আলোচনা ইত্যাদি পদ্ধতির মাধ্যমে সংগ্রহ করে তা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করা হয় যার সব ই অগাণিতিক তাকে গুণগত গবেষণা বলে।গুণগত গবেষণা করা হয় কোনো কিছু সম্পর্কে জানতে, তুলনা করতে বা কখনো কখনো সম্পর্ক নির্ণয়ের জন্য। গুণগত গবেষণার ফলাফল গাণিতিক উপায়ে বা পরিসংখ্যানে প্রকাশ করা যায় না।

২. পরিমাণগত গবেষণা (Quantitative Research)

যে গবেষণায় ব্যবহৃত উপাত্ত সবসময় সংখ্যাসূচক হয় এবং গাণিতিক ও পরিসাংখ্যিক পদ্ধতি ব্যবহার করে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করা হয় তা হলো পরিমাণগত গবেষণা। একে সংখ্যাত্বক গবেষণাও বলে। এই গবেষণার একটি রুপ হলো জরিপ গবেষণা, যা বর্ণনামূলক গবেষণারও অন্তর্ভুক্ত।

৩. মিশ্র গবেষণা (Mixed-method Research)

যখন কোনো গবেষণায় গুণগত ও পরিমাণগত উভয় প্রকারের উপাত্ত ব্যবহার করে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান অনুসন্ধান করা হয় তা হলো মিশ্র পদ্ধতির গবেষণা। মিশ্র গবেষণার উপাত্ত- ও ফলাফল গাণিতিক ও অগাণিতিক। চলকের ব্যবহারগত দিক থেকে গবেষণার প্রকারভেদচলকের ব্যবহার ও ব্যবহারের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত গবেষণা তিন প্রকারের। যথা-

১. গুণগত গবেষণা (Qualitative Research)

গুণগত গবেষণা সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা ধারার সম্ভবত সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি। যে গবেষণায় প্রয়োজনীয় উপাত্ত সরাসরি (first-hand) পর্যবেক্ষণ, সাক্ষাৎকার, প্রশ্নমালা, ফোকাস গ্রুপ আলোচনা ইত্যাদি পদ্ধতির মাধ্যমে সংগ্রহ করে তা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করা হয় যার সব ই অগাণিতিক তাকে গুণগত গবেষণা বলে।গুণগত গবেষণা করা হয় কোনো কিছু সম্পর্কে জানতে, তুলনা করতে বা কখনো কখনো সম্পর্ক নির্ণয়ের জন্য। গুণগত গবেষণার ফলাফল গাণিতিক উপায়ে বা পরিসংখ্যানে প্রকাশ করা যায় না।

২. পরিমাণগত গবেষণা (Quantitative Research)

যে গবেষণায় ব্যবহৃত উপাত্ত সবসময় সংখ্যাসূচক হয় এবং গাণিতিক ও পরিসাংখ্যিক পদ্ধতি ব্যবহার করে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করা হয় তা হলো পরিমাণগত গবেষণা। একে সংখ্যাত্বক গবেষণাও বলে। এই গবেষণার একটি রুপ হলো জরিপ গবেষণা, যা বর্ণনামূলক গবেষণারও অন্তর্ভুক্ত।

৩. মিশ্র গবেষণা (Mixed-method Research)

যখন কোনো গবেষণায় গুণগত ও পরিমাণগত উভয় প্রকারের উপাত্ত ব্যবহার করে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান অনুসন্ধান করা হয় তা হলো মিশ্র পদ্ধতির গবেষণা। মিশ্র গবেষণার উপাত্ত- ও ফলাফল গাণিতিক ও অগাণিতিক।চলকের ব্যবহারগত দিক থেকে গবেষণার প্রকারভেদচলকের ব্যবহার ও ব্যবহারের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত গবেষণা তিন প্রকারের। যথা-

১. পরীক্ষণমূলক গবেষণা (Experimental Research)নিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণ হলো পরীক্ষণ। যে গবেষণায় বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে কৃত্রিম পরিবেশ সৃষ্টি করে সেখানে কঠোর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করে চলকের বৈশিষ্ট্য ও এক চলকের প্রতি অন্য চলকের প্রভাব নির্ণয় করা হয় তাকে পরীক্ষণমূলক গবেষণা বা পরীক্ষামূলক গবেষণা বলে।