Bivash Vlog

Find Your Dream Jobs

কারক ও বিভক্তি | বাংলা ব্যাকরণ

কারক বা কৃ (ক্রিয়া) + ণক (সম্পর্ক) একটি তৎসম শব্দ যার অর্থ “যা ক্রিয়া সম্পাদন করে”। বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সাথে নামপদের যে সম্পর্ক তাকে কারক বলে। যেমন: সকলকে মরতে হবে। কারক ৬ প্রকার। যথা:

  • কর্তাকারক/কর্তৃকারক
  • কর্মকারক
  • করণকারক
  • অপাদান কারক
  • অধিকরণ কারক
  • সম্মন্ধ কারক

মূলত ক্রিয়ার সাথে বাক্যের বিশেষ্য ও সর্বনামের সম্পর্কই কারক। সম্পর্কটি বোঝাতে এই বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের সঙ্গে সাধারণত বিভক্তি ও অনুসর্গ যুক্ত হয়।

বিভক্তি

শব্দকে বাক্যে ব্যবহার উপযোগী পদে রূপান্তরিত করার জন্য শব্দের সাথে যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি যুক্ত করা হয় তাই বিভক্তি। মূলত বাক্যস্থিত একটি শব্দের সঙ্গে অন্য শব্দের সম্পর্ক বা অন্বয় সাধনের জন্য বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমন: ছাদে বসে মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন – বাক্যটিতে ‘ছাদে’ (ছাদে = ছাদ + এ) পদটি গঠনে ‘ছাদ’ শব্দের সঙ্গে ‘এ’ বিভক্তি যুক্ত করা হয়েছে। ফলে ‘ছাদ’ ও ‘বস’ শব্দের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। অনুরূপভাবে, মা=মা+০ বিভক্তি, শিশুকে=শিশু+কে বিভক্তি এবং চাঁদ=চাঁদ+০ বিভক্তি।

সুতরাং কারক হল নামপদের সঙ্গে ক্রিয়াপদের সম্পর্ক এবং এই সম্পর্ককে বিভক্তি চিহ্নের মাধ্যমে নির্দেশ করানো হয়। বাংলায় বিভক্তি সাত প্রকার। যথা:

  • প্রথমা বিভক্তি: অ, ০
  • দ্বিতীয়া বিভক্তি: কে, রে
  • তৃতীয়া বিভক্তি: দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক
  • চতুথী বিভক্তি: দ্বিতীয়া বিভক্তির মত (তবে নিমিত্ত বা জন্য বুঝাবে)
  • পঞ্চমী বিভক্তি: হতে, থেকে, চেয়ে
  • ষষ্ঠী বিভক্তি: র, এর
  • সপ্তমী বিভক্তি: এ, য় ,তে

কর্তাকারক বা কর্তৃকারক

বাক্যের কর্তা বা উদ্দেশ্যই কর্তাকারক (বা কর্তৃকারক)। বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা বিশেষণ পদ ক্রিয়া সম্পাদন করে সেটিই কর্তা তথা কর্তাকারক বা কর্তৃকারক। ‘কে’ বা ‘কারা’ দিয়ে বাক্যের ক্রিয়াপদকে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটিই বাক্যের কর্তা বা কর্তৃকারক। যেমন:

  • আমি ভাত খাই
    কে ভাত খায়? উত্তর হচ্ছে আমি। তাহলে আমি হচ্ছে কর্তৃকারক।
  • বালকেরা মাঠে ফুটবল খেলছে
    কারা ফুটবল খেলছে? উত্তর হচ্ছে-বালকেরা। তাহলে ‘বালকেরা’ হচ্ছে কর্তৃকারক।
  • অনেকগুলো বন্য হাতি বাগান নষ্ট করে দিল।
  • পাগলে কিনা বলে।

কর্তাকারকের আরও গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ –

  • অর্থ অনর্থ ঘটায়। (কর্তায় শূন্য)
  • গুণহীন চিরদিন থাকে পরাধীন। (কর্তায় শূন্য)
  • দশে মিলে করি কাজ। (কর্তায় ৭মী)
  • পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল। (কর্তায় শূন্য)
  • রতনে রতন চিনে। (কর্তায় ৭মী)
  • আমার খাওয়া হলো না। (কর্তায় ৬ষ্ঠী)
  • রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি। (কর্তায় শূন্য)

কর্তাকারক ক্রিয়া সম্পাদনের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী চার প্রকার। যথা:

মুখ্যকর্তা: বাক্যস্থিত যে কর্তা নিজেই ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে মুখ্যকর্তা বলে। যেমন:

  • ছেলেরা ফুটবল খেলছে।
    এখানে ক্রিয়াপদ ‘খেলা’ যা সম্পাদন করছে ‘ছেলেরা’
  • মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে

প্রযোজক কর্তা: যে (মূল) কর্তা নিজে ক্রিয়া সম্পন্ন করে না, কিন্তু অন্যকে নিয়োজিত করে ক্রিয়া সম্পন্ন করিয়ে নেয়, তাকে প্রযোজক কর্তা বলে। যেমন: শিক্ষক ছাত্রদের বাংলা পড়াচ্ছেন; এখানে ক্রিয়াপদ ‘পড়াচ্ছেন বা পড়া’। মূল কর্তা ‘শিক্ষক’ নিজে এখানে পড়ছেন না; বরং তিনি ছাত্রদের নিয়োজিত করেছেন পড়ার কাজে। তাই ‘শিক্ষক’ এখানে প্রযোজক ক্রিয়া।

প্রযোজ্য কর্তা: মূল কর্তা নিজে ক্রিয়া সম্পন্ন না করে যাকে নিয়োজিত করে ক্রিয়া সম্পন্ন করিয়ে নেন তাকে প্রযোজ্য কর্তা বলে। যেমন: শিক্ষক ছাত্রদের বাংলা পড়াচ্ছেন। এখানে ‘ছাত্র’ হচ্ছে প্রযোজ্য কর্তা। অনুরূপভাবে,

  • মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন। এখানে ‘মা’ প্রযোজক এবং ‘শিশু’ প্রযোজ্য কর্তা।
  • রাখাল (প্রযােজক) গরুকে (প্রযােজ্য কর্তা) ঘাস খাওয়ায়।

ব্যতিহার কর্তা: কোন বাক্যে দুটি কর্তা একত্রে বসে একজাতীয় ক্রিয়া সম্পন্ন করলে তাদের ব্যতিহার কর্তা বলে। যেমন: বাঘে-মহিষে এক ঘাটে জল খায়, রাজায় রাজায় যুদ্ধ ইত্যাদি। এক্ষেত্রে দুটি কর্তা একে অপরের বিপরীত অভিমুখে কাজ করবে বা তারা একে অপরকে সহযোগীতা করবে না।

বাক্যের প্রকাশভঙ্গি অনুসারে কর্তা তিন রকম হতে পারে। যেমন-

কর্মবাচ্যের কর্তা (কর্মপদের প্রাধান্যসূচক বাক্যে): পুলিশ দ্বারা চোর ধৃত হয়েছে।
ভাববাচ্যের কর্তা (ক্রিয়ার প্রাধান্যসূচক বাক্যে): আমার যাওয়া হবে না।
কর্মকর্তৃবাচ্যের কর্তা (বাক্যে কর্মপদই কর্তৃস্থানীয়): বাঁশি বাজে।

এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার কর্তা –

কর্মকারক

কর্তা যাকে আশ্রয় করে ক্রিয়া সম্পাদন করে তাই কর্ম বা কর্মকারক। ক্রিয়ার বিষয় হলো কর্ম। বাক্যের ক্রিয়াকে ‘ কি’ বা ‘কাকে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া সেটিই কর্ম বা কর্মকারক। যেমন:

  • আমি ভাত খাই।
    যদি প্রশ্ন করা হয় কি খাই? উত্তর হচ্ছে-ভাত।
  • হাবিব সোহলকে মেরেছে।
    যদি প্রশ্ন করা হয় হাবিব কাকে মেরেছে? উত্তর হচ্ছে-সোহেলকে।

কর্মকারক দুই প্রকার। যথা:

মুখ্য কর্ম: বস্তুবাচক কর্মকে মুখ্য কর্ম বলে।
গৌণ কর্ম: প্রাণিবাচক কর্মকে গৌণ কর্ম বলে।

যেমন: বাবা আমাকে একটি মোবাইল কিনি দিয়েছেন। এখানে ‘আমাকে’ (কাকে কিনে দিয়েছেন?) গৌণ কর্ম এবং ‘মোবাইল’ (কি কিনে দিয়েছেন?) মুখ্য কর্ম।

গুরুত্বপূর্ণ কর্মকারক –

  • আত্মার সম্পর্কই হলো আত্মীয়। (কর্মে শূন্য)
  • অল্পবিদ্যা ভয়ংকারী। (কর্মে শূন্য)
  • কাননে কুসুমকলি সকলি ফুটিল। (কর্মে শূন্য)
  • কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না। (কর্মে শূন্য)
  • চিত্ত যেথা ভয়শূন্য উচ্চ সেথা শির। (কর্মে শূন্য)
  • দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে। (কর্মে শূন্য)
  • খাড়ড়ে ছাগ কাটে। (কর্মে ৭মী)

বিভিন্ন প্রকার কর্ম

করণ কারক

‘করণ’ শব্দের অর্থ যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়। করণকারক দ্বারা ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র বা উপকরণ বুঝায়। কর্তা যা দ্বারা ক্রিয়া সম্পাদন করে তাই করণকারক। ক্রিয়াকে ‘ কীসের দ্বারা’ বা ‘কী উপায়ে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় সেটিই করণ কারক। যেমন:

  • নীরা কলম দিয়ে লেখে।
    কীসের দ্বারা লেখে? উত্তর হচ্ছে-কলম। উল্লেখ্য কলম একটি উপকরণ। তাই কি দিয়ে লেখে? এমন প্রশ্ন করা যাবে না।
  • সাধনায় সিদ্ধি লাভ হয়।
    কী উপায়ে সিদ্ধি লাভ হয়? উত্তর হচ্ছে-সাধনায়।

গুরুত্বপূর্ণ করণকারক –

  • অর্থে অনর্থ ঘটে। (করণে ৭মী)
  • অল্প শোকে কাতর অধিক শোকে পাথর। (করণে ৭মী)
  • কাঁথায় শীত মানে না। (করণে ৭মী)
  • খড়গে ছাগে কাটে। (করণে ৭মী)
  • ঘোড়াকে চাবুক মার। (করণে শূন্য)
  • জ্যোৎস্নাতে আলোকিত এই রাত্রি। (করণে ৭মী)
  • টাকায় কিনা হয়। (করণে ৭মী)
  • ত্রিরিশ বছর ভিজিয়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে। (করণে ৭মী)
  • তাকে হাতে না মারলেও ভাতে মারব। (করণে ৭মী)
  • ফুলে ফুলে সাজিয়েছে ঘর। (করণে ৭মী)
  • শাক দিয়ে মাছ ঢেকো না। (করণে ৩য়া)
  • অহংকারে পতন ঘটে। (করণে ৭মী)
  • টাকায় বাঘের দুধ মেলে। (করণে ৭মী)
  • নিজের চেষ্টায় বড় হও। (করণে ৭মী)
  • ফলে বৃক্ষের পরিচয়। (করণে ৭মী)

বিভিন্ন প্রকার করণ কারক

অপাদান কারক

যা থেকে কিছু বিচ্যুত, গৃহীত, জাত, বিরত, আরম্ভ, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয় তাকেই অপাদান কারক বলে। ক্রিয়াকে ‘কোথা হতে’, ‘কি হতে’, বা কিসের হতে প্রশ্ন করলে অপাদান কারক পাওয়া যায়। যেমন:

  • গাছ থেকে পাতা পড়ে।
    কোথা থেকে পাতা পড়ে? উত্তর -গাছ ।
  • পাপে বিরত হও।
    কি হতে বিরত হও? উত্তর – পাপ ।

বিভিন্ন প্রকার অপাদান কারক

অধিকরণ কারক

ক্রিয়ার সম্পাদনের সময় বা স্থানকে অধিকরণ কারক বলে। ক্রিয়ার সাথে কোথায়/কখন/কিসে যোগ করে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তাই অধিকরণ কারক। যেমন:

  • আমরা রোজ স্কুলে যাই।
    আমরা রোজ কোথায় যাই? উত্তর – স্কুলে।
  • প্রভাতে সূর্য ওঠে।
    কখন সূর্য ওঠে? উত্তর -প্রভাতে।

অধিকরণকে প্রাথমিক ভাবে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা: আধার অধিকরণ ও ভাবাধিকরণ।

আধার অধিকরণ

আধার অধিকরণ তিন প্রকার: স্থানাধিকরণ, কালাধিকরণ ও বিষয়াধিকরণ।

স্থানাধিকরণ

যে স্থানে ক্রিয়ার কাজটি সম্পন্ন হয়, তাকে স্থানাধিকরণ বলে। যেমন: বাবা বাড়ি নেই। আমি স্কুলে পড়ি।

কালাধিকরণ

কালাধিকরণ‌ও দুই প্রকার: মুহূর্তাধিকরণ এবং ব্যাপ্তাধিকরণ

মুহূর্তাধিকরণ: ক্রিয়ার কাজটি এক মুহূর্তে সম্পাদিত হলে সেই সময়কে মুহূর্তাধিকরণ বলে। যেমন: লোকটি সকালে মারা গেছে।

ব্যাপ্তাধিকরণ: ক্রিয়ার কাজ দীর্ঘ সময় জুড়ে হয়ে থাকলে সেই সময়কে ব্যাপ্তাধিকরণ বলে। যেমন: আমি সকালে পড়েছি।(এই কাজটিও সকালে কিন্তু এক মুহূর্তে নয়)

বিষয়াধিকরণ

ক্রিয়ার কাজ যে বিষয়ে সম্পাদিত হয়, তাকে বিষয়াধিকরণ বলে। যেমন: অঙ্কে তার মাথা আছে। পড়াশোনায় তার মন নেই। খেলাধূলায় তার দক্ষতা আছে। কাজে মন দাও।

ভাবাধিকরণ

ক্রিয়ার কাজটি কোনো বিমূর্ত ভাব বা কাজকে মধ্যে আধার করে সম্পাদিত হলে তাকে ভাবাধিকরণ বলে। যেমন: রাজা বিলাসিতায় মগ্ন। কথাটা গোলমালে হারিয়ে গেল।

সম্বন্ধ কারক

বিশেষ্য ও সর্বনামের সাথে বিশেষ্য ও সর্বনামের সম্বন্ধ নির্দেশক কারককে সম্বন্ধকারক বলে। এ কারকে ক্রিয়ার সাথে সম্পর্ক পরক্ষ। যেমন:

  • ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না; এখানে ‘গন্ধ’ (বিশেষ্য) এবং ‘ঘুম’ (বিশেষ্য) এর মধ্যে সম্বন্ধ নির্দেশক কারক ‘ফুলের’।
  • তখনকার দিনে পায়ে হেটে চলতে হতো মাইলের পর মাইল।

আরও তথ্য –

  • অপ্রাণিবাচক বা ইতর প্রাণীবাচক শব্দের বহুবচনে ‘গুলো’, ‘গুলি’ যুক্তি হয়।
  • অপ্রাণিবাচক শব্দের পরে শূন্য বিভক্তি হয়। যেমন: কলম দাও।
FAQ
1. কারক বলতে কী বোঝায়?

Ans: কারক শব্দটির ব্যাকরণগত অর্থ হলো- যা ক্রিয়া সম্পাদন করে। বাংলা ব্যাকরণ শাস্ত্রে, কারক বলতে মূলত ক্রিয়ার সঙ্গে বাক্যের বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের সম্পর্ককে নির্দেশ করে। কারকের সম্পর্ক বোঝাতে বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের সঙ্গে সাধারণত বিভক্তি ও অনুসর্গ যুক্ত হয়।

2. বিভক্তি গুলো কি কি?

Ans: সাধারণত ক্রিয়ার স্থান, কাল, ভাব বোঝাতে -এ, -তে, -য়, -য়ে ইত্যাদি বিভক্তির ব্যবহার হয়। কখনো কখনো বাক্যের কর্তার সঙ্গেও এসব বিভক্তি বসে। যেসব শব্দের শেষে কারচিহ্ন নেই, সেসব শব্দের সঙ্গে -এ বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমন: সকালে, দিনাজপুরে, ই-মেইলে, কম্পিউটারে, ছাগলে, তিলে ইত্যাদি।

3. কারক চেনার সহজ উপায় কি?

Ans: বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদের সম্পর্ককে কারক বলে। অর্থাৎ, বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে অন্যান্য পদের যে সম্পর্ক, তাকে কারক বলে। বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক বলে। ক্রিয়াকে ‘কে/ কারা’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটিই কর্তৃকারক।

4. অনুসর্গ কী কাজ করে?

Ans: অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় বাংলা ব্যাকরণের একটি পদ। বাংলা ভাষায় যে অব্যয় শব্দগুলো কখনো স্বাধীন পদরূপে, আবার কখনো শব্দ বিভক্তির ন্যায় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে, সেগুলোকেই অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় বলা হয়।