বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস ( ঈষৎ মধ্যযুগ)

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস ( ঈষৎ মধ্যযুগ) History of Bengali Literature (Middle Ages) , (পদাবলী সাহিত্য, মঙ্গল কাব্য, চৈতন্য জীবনী কাব্য)

গ্রামীণ জীবনের অনেক ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায় মধ্যযুগের অমর এ কাব্যে। রাধার রান্না করা, দুধ-দই বিক্রি করতে মধুরার হাটে যাওয়া যেন দৈনন্দিন গ্রামীণ জীবনেরই গল্প। রাধার দায়িত্বভার অর্পণ করা হয় আয়েন ঘোষের পিসিমার উপর। তিনিই রাধা কৃষ্ণের সম্পর্ক সৃষ্টিতে সহযোগিতা করেন।

ব্যক্তি রাধা ছাড়াও ভাগীরথী নদীর তীরের গোপ পল্লিতে গ্রামীণ সমাজ ব্যবস্থার পেশাজীবী মানুষ যেমন নাপিত, কুমার, মাঝি, তেলী প্রভৃতির বর্ণনা পাওয়া যায় এ কাব্যটিতে।

তাই বলা যায় শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে রাধাকে কেন্দ্র করে এক গ্রামীণ সমাজব্যবস্থার চিত্র তুলে হয়েছে।

বড়ু চণ্ডীদাসের পরিচয়

বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রথম নিদর্শন শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য কোন একক কবির লেখা প্রথম কাব্য। কাব্যটির রচয়িতা মধ্যযুগের চতুর্দশ শতকের বাঙালি কবি বড় চণ্ডীদাস পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার ছাতনার অধিবাসী।

তাঁর প্রকৃত নাম অনন্ত বড়ুয়া বা অনন্ত বড়াই। কৌলিক উপাধি বড় এবং গুরুপ্রদত্ত নাম চণ্ডীদাস। বাসলী দেবীর উপাসক চণ্ডীদাস ১৪৩৩ খ্রিস্টাব্দে মারা যান।

মধ্যযুগের অন্যান্য বাংলা সাহিত্য

লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন : মধ্যযুগের সাহিত্যধারা সম্পর্কে লিখুন।

উত্তর : মধ্যযুগের কাব্যের প্রধান ধারা ২টি। যথা- মৌলিক সাহিত্য ও অনুবাদ সাহিত্য।

মৌলিক সাহিত্য

বৈষ্ণব পদাবলী

জীবনী সাহিত্য

মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য

অনুবাদ সাহিত্য

মঙ্গল কাব্য

লোকসাহিত্য

নাথসাহিত্য

মর্সিয়া

বৈষ্ণব সাহিত্য

পদ বা পদাবলী : পদ বা পদাবলী বলতে বোঝায় বৌদ্ধ বা বৈষ্ণবীয় গূঢ় বিষয়ের বিশেষ সৃষ্টি । ২২তম বিসিএস প্রিলিমিনারি আমাজনেরা অধিদপ্তরের সমাজসেবা অফিসার: ৬। বৈষ্ণব পদাবলী রাধা ও কৃষ্ণের আকর্ষণ-বিকর্ষণের বিচিত্র অনুভূতি সম্বলিত এক প্রকার গান। বৈষ্ণব সাহিত্য তিন প্রকার- ক. জীবনী সাহিত্য, খ. বৈষ্ণবশাস্ত্র এবং গ. পদাবলী।

বৈষ্ণব পদাবলি

o মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ও সবচেয়ে সমৃদ্ধ ফসল বৈষ্ণব পদাবলি। O বৈষ্ণব পদাবলি বৈষ্ণব সমাজে মহাজন পদাবলী’ এবং বৈষ্ণব পদকর্তাগণ মহাজন’ নামে পরিচিত।

o বৈষ্ণব পদাবলির প্রথম পদকর্তা বাচালি জয়দেব।

০ বৈষ্ণব মতে স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক বিদ্যমান। বৈষ্ণব ধর্মমতকে কেন্দ্র করে যে বিচিত্রধর্মী সাহিত্যের সৃষ্টি হয়েছে তাকে বৈষ্ণব সাহিত্য নামে চিহ্নিত করা হয়।

o বাংলায় প্রচলিত পদাবলীর দুটি সুস্পষ্ট ভাগ রয়েছে যার একটি চৈতন্য পূর্ববর্তী চতুর্দশ শতকে কবিগোষ্ঠী বিদ্যাপতি ও চণ্ডীদাস এবং অপরটি চৈতন্য পরবর্তী সময়ে ষোড়শ শতকে বিকাশ লাভ ।

০ বৈষ্ণব সাহিত্যের উপজীব্য তথা বৈষ্ণব পদাবলীর উপজীব্য রাধা কৃষ্ণের প্রেমলীলা শৃঙ্গার রস (মধুর রস)। ৩৭তম

O নবদ্বীপ-শান্তিপুর অঞ্চলে পণ্ডিতগণ গোপনে এ ধর্ম প্রচার করতেন। পরে চৈতন্যদেব এ ধর্মের নতুন তাৎপর্য দিয়ে সারাদেশে প্রচার করেন ।

● মধ্যযুগের ধর্ম প্রচারক শ্রী চৈতন্যদেবের (১৪৮৬-১৫৩৩) আবির্ভাবের ফলে বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ নতুন সম্পদে

সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। তাঁকে কেন্দ্র করে মধ্যযুগের বিভিন্ন স্তর/পর্ব এর আবির্ভাব হয়েছে। ড. অসিতকুমার চট্টোপাধ্যায় :

মধ্যযুগকে চারটি পর্বে ভাগ করেছেন – প্রথম পর্ব : প্রাক চৈতন্য যুগ- চতুর্দশ ও পঞ্চদশ শতাব্দী তৃতীয় পর্ব : উত্তর চৈতন্যযুগ- সপ্তদশ

দ্বিতীয় পর্ব : চৈতন্য যুগ- ষোড়শ শতাব্দী

চতুর্থ পর্ব : অষ্টাদশ শতাব্দী

চৈতন্য পূর্ববর্তী পদকর্তী

জয়দেব

বাংলা পদাবলীতে প্রভাব রাখা বার শতকের সংস্কৃত কবি জয়দেব এর বিখ্যাত রচনা ‘গীতগোবিন্দম’ এর মূল উপজীব্য ‘রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা’।

বিদ্যাপতি

বিদ্যাপতি পদাবলির প্রথম কবি। ২২তম বিসিএস প্রিলির ानশক্ষা অফিসার: ০৬।

তিনি পদাবলির আদি রচয়িতা। যোগাযোগ লালয়ের অধীন প্রশাসনিক কাকতার ০৬: জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার- ০৫) তিনি ব্রজবুলি ভাষায় পদ রচনা করেন। ৭ম বিজেএস পরিবেশ অধিদপ্তরের সহ, পরি: ১১: ৪০তম বিসিএস) অর্থাৎ ব্রজবুলি ভাষার

প্রবর্তক। সাব-রেজিস্টারঃ ১৬: বেসরকারি সহ, শি, নিজের থানা, শি আফসার: ১২/

বিদ্যাপতি মিথিলার কবি। /২৮তম ও ৩৮তম বিসিএস) বাঙ্গালি না হয়েও (অবাঙালি কবি) (প্রতিরক্ষা মানাশকের সরকারী অফিসার: ১৫, যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের অধীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ০৬ | বাংলায় কবিতা রচনা না করেও বাংলা সাহিত্যে এক অবিস্মরণীয় নাম।

তাঁর উপাধি ‘কবিকণ্ঠহার’। সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসার ১৩/ তিনি ‘মৈথিলি কোকিল’ যাত্রী মন্ত্রণালয়ের অধীন পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদত্তরের সহকারী পরিচালক ১৪) ও ‘অভিনব জয়দেব’ নামে খ্যাত

ছিলেন। অত্যন্ত মর্যাদাবান এই কবির বিখ্যাত উক্তি-

‘এ সখি হামারি দুখের নাহি ওর।

এ মরা ভাদর মাহ ভাদর

শূন্য মন্দির মোর।’

বৈষ্ণব পদাবলির ধারায় বিদ্যাপতির বিশেষত্ব

উত্তর : উপরে বর্ণিত বিদ্যাপতির বর্ণনা + নিচে বর্ণিত ব্রজবুলির বর্ণনা + অলৌকিক প্রেমকাহিনির মানবিক রূপ দান করেছেন। বিদ্যাপতিই কাম-প্রেম রসের বিচিত্র জগতের প্রথম ও সার্থক স্রষ্টা।

তার রচিত পদাবলির ধারায় ধর্মীয় আবেগ থেকে রসবোধই বেশি প্রকাশিত হয়েছে। তার রচিত রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক পদগুলোর মধ্যে রাধার বয়ঃসন্ধি, অভিসার, প্রেমবৈচিত্র্য, আক্ষেপানুরাগ, বিরহ, ভাবসম্মিলনের পদগুলো বিশেষ উৎকর্ষপূর্ণ। তিনি কবিহৃদয়ের নিবিড় আকুতি বৈষ্ণব পদাবলিতে প্রতিফলিত করেছেন।

ব্রজবুলি কী

ব্রজবুলি

বৈষ্ণব পদাবলীর অধিকাংশই রচিত হয়েছে ব্রজবুলি নামে এক কৃত্রিম মিশ্র কবি ভাষায়। মূলত মৈথিলি ও বাংলা মিশ্রিত জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুाেनর মাধ্যমিক বিानয় সम. भি: ১৬. চিফ ইক্টির (ননটেক ) ০৩/ এই মধুর সাহিত্যিক ভাষায় রচিত পদাবলী থেকে জনসাধারণ ধারণা করেছে যে, বৃন্দাবনের রাধাকৃষ্ণ সম্ভবত এ ভাষাতেই কথা বলত। তাই ব্রজের বুলি অর্থে ব্রজবুলি এই কাল্পনিক ব্যাখ্যা দেয়া হয়। ‘গীতগোবিন্দ’ ব্রজবুলি ভাষায় রচিত। (পরিবেশ ও বন মায়ের রিসার্চ অফিসার কারা তত্ত্বাবধায়ক: ০৬/

চণ্ডীদাস (চতুদর্শী শতকের শেষ ভাগ)

বাংলা ভাষায় বৈষ্ণব পদাবলীর আদি রচয়িতা বাংলা সাহিত্যের প্রথম মানবতাবাদী কবি চণ্ডীদাস।

“এমন পিরীতি কভু নাহি দেখি শুনি।

পরানে পরাণ বান্ধা আপনা আপনি

বাঙ্গালি বৈষ্ণব সাহিত্যের রস ও আনন্দের সংবাদ পেয়েছে চণ্ডীদাসের পদাবলি থেকে।

চৈতন্যদেব তাঁর পদাবলি শুনে মোহিত হতেন।

উল্লেখযোগ্য পক্তি :

কলঙ্কের ডালি মাথায় করিয়া আনল ভেজাই ঘরে।

সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই ১৯তম বিসিএস)

তোমার লাগিয়া কলঙ্কের হার গলায় পরিতে সুখ।

সই কেমনে ধরিব হিয়া/

দুই কোরে দুই কাঁদে বিচ্ছেদ ভাবিয়া আধতিল না দেখিলে যায় যে মরিয়া।

আমার বঁধুয়া আন বাড়ি যায় আমার আঙিনা দিয়া।

সই কে শুনাইল শ্যাম নাম ।

চৈতন্য পরবর্তী পদকর্তা

জ্ঞানদাস (ষোড়শ) : সাধক চণ্ডীদাসের ভাবশিষ্য জ্ঞানদাস ছিলেন একজন কবি। তাঁর বিখ্যাত পঙক্তি-

‘রূপ লাগি আঁখি ঝুরে গুণে মন ভর।

প্রতি অঙ্গ লাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মোর ॥ হিয়ার পরশ লাগি হিয়া মোর কান্দে

পরাণ- পিরীতি লাগি থির নাহি বান্ধে।

সুখের লাগিয়া এ ঘর বান্ধিলু অনলে পুড়িয়া গেল।’

গোবিন্দ চন্দ্র দাস : তিনি বিদ্যাপতির অনুসারী (ভাবশিষ্য বলা হয়) ছিলেন। সঙ্গতি সাধক (নাটক) (১৫৩৫-১৬১৩)। পক্তি-

যাঁহা যাঁহা নিকসয়ে তনু তনু জ্যোতি / তাঁহা তাঁহা বিজুরি চমকময় হোতি।

মুসলমান পদকর্তা : শেখ কবির (প্রথম), আফবাল শেখ ফয়জুল্লাহ, সৈয়দ মুর্তজা কবির শেখ, আব্দুল ওয়াহিদ, শেখ জালাল।

মঙ্গল কাব্য

বাংলা সাহিত্যে মধ্যযুগে বিশেষ এক শ্রেণির ধর্মবিষয়ক আখ্যান কাব্যই মঙ্গলকাব্য। প্রিমিক বিদ্যা, প্র. শিা প্রমিক বিদ্যালয় সহ ৬)

মঙ্গলকাব্য লেখার মূলে উল্লিখিত কারণ- স্বপ্নে দেবী কর্তৃক আদেশ লাভর। গণযোগাযোগ অধি গহ, তথ্য আফসার: ১৩/ ড.

দীনেশচন্দ্র সেনের মতে এ সাহিত্য ধারার কবি ৬২ জন।

প্রকারভেদ : মঙ্গলকাব্য প্রধানত ২ প্রকার। (পৌরাণিক মঙ্গল ও লৌকিক মঙ্গল)।

,ঙ্গলকাব্যের অংশ ৫টি সোনালী ব্যাংক লি. সিনিয়র অফিসার। ১৯ : বন্দনা, আত্মপরিচয়, দেবখণ্ড মর্ত্যখণ্ড, শ্রুতিফল। কোন কোন মতে মঙ্গল কাব্যের বিষয়বস্তু ৪টি অংশে বিভক্ত। যথা- বন্দনা, আত্মপরিচয়, দেবখণ্ড এবং নরখণ্ড ও আখ্যায়িকা। মূলধারা : মনসা, চণ্ডী, অন্নদামঙ্গল। তবে মনসা ও চণ্ডী দেবতার প্রভাব বেশি ৭ম বিজেএস) ।

অপ্রধান শাখা- ২টি : ধর্মমঙ্গল, শিবমঙ্গল / কালিকামঙ্গল।

মঙ্গল কাব্যের কবি : কানা হরিদত্ত, নারায়ণদেব, মানিক দত্ত, ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর, মুকুন্দরাম চক্রবর্তী প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।

মঙ্গলকাব্য কী?

উত্তর : মানুষের বিশ্বাস মতে, দেবদেবীর মাহাত্ম্য নির্ভর করে যে কাব্য রচনা, পাঠ, শ্রবণ করলে নিজের প্রতিবেশীর, সমাজের কল্যাণ সাধন হয়, তাকেই মঙ্গল কাব্য বলে। মঙ্গলকাব্যের রচনাকাল পনের থেকে আঠার শতক। এর প্রধান শাখা ৩টি। যথা- মনসামঙ্গল, চণ্ডীমঙ্গল ও অন্নদামঙ্গল। মঙ্গলকাব্যের সাধারণ বৈশিষ্ট্যসমূহ-

স্বপ্নে দেবতার নির্দেশ পেয়ে কাব্য রচনা।

প্রথমেই সর্বসিদ্ধিদাতা গণেশের বন্দনা।

অধিকাংশ ঘটনাই সাধারণ নয়।

সকল নায়ক-নায়িকা শাপভ্রষ্ট দেবতা। মর্তে পূজা প্রচারের সময় তাদের আচরণ মানুষের মতো।

আদিকবি-

মনসামঙ্গল

কানা হরিদত্ত মেশেন অধিদপ্রানের সহ পরিচালক ত

শ্রেষ্ঠ কবি-

চরিত্র-

নারায়ণদের

চাঁদ সওদাগর

(দেবতা-বিরোধী চরিত্র),

বেহুলা লখিন্দর, সনকা

→ মনসামঙ্গলের কবি ২২ জন। এদের একত্রে বাইশ্যা বলা হয়।

মনে রাখুন। বিজয়গুপ্ত – পদ্মপুরাণ

বিপ্রদাস পিপিলাই – মনসাবিজয় –

মঙ্গলকাব্যের মধ্যে প্রাচীনতম শাখা- মনসামঙ্গল ।

সর্প দেবী মনসা/পদ্মাবতীর কাহিনী অবলম্বনে রচিত মঙ্গলকাব্য। কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর উপ-পরিচালকের ১৭

প্রধান চরিত্র চাঁদ সওদাগর, সনকা, বেহুলা লখিন্দর, মনসা।

আদি কবি- কানাহরি দত্ত (জন্ম ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার সিংরৈল দত্তবাড়িতে)। শ্রেষ্ঠ কবি কবি নারায়ণ দেব।

মোট ২২ জন কবির নাম পাওয়া যায়। এদের একত্রে বাইশ্যা বলা হয়। (সংকলিত গ্রন্থ ‘বাইশা’ নামে পরিচিত)।

কবিগণ – কানাহরি দত্ত, নারায়ণ দেব, বিজয় গুপ্ত, বিপ্রদাস পিপিলাই, দ্বিজ বংশীদাস, কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ ।

এই কাব্যের কবি দ্বিজ বংশীদাস বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতীর পিতা।

→ নারায়ণ দেব রচিত মনসামঙ্গল পদ্মপুরাণ।

বিজয় গুপ্ত রচিত মনসামঙ্গল পদ্মপুরাণ (১৮৯৬ সালে)।

→ বিজয় গুপ্তের রচনাকাল – আলাউদ্দিন হোসেন শাহের শাসনামলে।

বিজয় গুপ্তের জন্ম বাংলাদেশের বরিশাল জেলার গৈলা গ্রামে। বাংলা সাহিত্যে প্রথম ইংরেজি সালের প্রচলন করেন- বিজয় গুপ্ত।

একমাত্র পশ্চিমবঙ্গীয় কবি- কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ (কাব্য- ‘কেতকাপুরাণ)। শিবমঙ্গল কাব্য ধারার শ্রেষ্ঠ কাহিনী রচয়িতা- রামেশ্বর চক্রবর্তী (গ্রন্থের নাম- শিব-কীর্তন)।

শিবায়ন বা শিবমঙ্গল কাব্যের কবিগণ রামকৃষ্ণ রায়, শঙ্কর কবিচন্দ্র, রামেশ্বর ভট্টাচার্য, নিজ কালিদাস, দ্বিজ মণিরাম, বিনয় লক্ষণ।

চৈতন্যমঙ্গল, গোবিন্দমঙ্গল, সারদামঙ্গল গ্রন্থগুলোর সাথে মঙ্গল শব্দটি উল্লেখ থাকলেও এগুলো মঙ্গলকাব্য নয় ।

কালিকামঙ্গল কাব্যের কবিগণ শ্রীধর কবিরাজ, সাবিরিদখান, গোবিন্দ দাস, রামপ্রসাদ সেন।

বিদ্যাসুন্দরের প্রেমকাহিনী অবলম্বনে কালিকামঙ্গল কাব্য রচিত। কালিকামঙ্গল’ বা ‘বিদ্যাসুন্দর’ কাব্যের আদি কবি-

কবি কঙ্ক (পিতা- গুণরাজ, মাতা- গুণবতী। কবি কঙ্ক এর জন্মস্থান- কিশোরগঞ্জের রাজ্যেশ্বরী নদীর তীরে বিপ্রগ্রামে। বাংলা সাহিত্যে শাক্তগীতি ধারার প্রবর্তক- রামপ্রসাদ সেন। ৩৭তম বিসিএস

‘কবিরঞ্জন’ কাব্যের রচয়িতা- রামপ্রসাদ সেন (মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র কবিকে ‘কবিরঞ্জন’ উপাধি দিয়েছিলেন)।

শীতলামঙ্গল কাব্যের আদি কবি- নিত্যানন্দ চক্রবর্তী।

সারদামঙ্গল কাব্যের কবি রাজসিংহের কাব্য গ্রন্থের নাম- ভারতীমঙ্গল ।

সূর্যদেবতার কাহিনী অবলম্বনে রচিত হয়- সূর্যমঙ্গল কাব্য ।

মনসা মঙ্গলের অন্যতম কবি রামজীবনের সূর্যমঙ্গল কাব্যের নাম- আদিত্য-চরিত্র

দ্বিজ কমলাকান্ত রচিত গঙ্গামঙ্গল কাব্যের নাম- গঙ্গার প্যাচালী।

দুর্গাপ্রসাদ মুখটি রচিত গঙ্গামঙ্গল কাব্যের নাম- গঙ্গাভক্তি তরঙ্গিনী।

গৌরিমঙ্গল কাব্যের অন্যতম কবি- পৃথ্বীচন্দ্র। পৃথ্বীচন্দ্রর কাব্যের নাম- ভূষণ্ডী রামায়ণ।

ব্যাধির অধিদেবতা পঞ্চাননের পূজা প্রচারের উদ্দেশ্যে রচিত কাব্য- পঞ্চাননমঙ্গল কাব্য ।

পঞ্চাননমঙ্গল কাব্যের রচয়িতা- দ্বিজ রঘুনন্দন ।

→ চণ্ডী ও অন্নদা অভিন্ন একই দেবীর দুই নাম। প্রধান চরিত্র- ঈশ্বরী পাটনী, হীরা মালিনী।

১৭৫২ সালে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পৃষ্ঠপোষকতায় তাঁর সভাকবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্য রচনা করেন। এর জন্য মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র তাঁকে ‘রায়গুণাকর’ উপাধি দেন তিনা নালয়ের সহকারী পরিচালক দেযোগাযোগ প্রশিক্ষণ), ২১। ভুরসুট পরগণার পাওয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ (১৭১২) করেন। পিসপোর্ট ও ইমিমেশন অধিদপ্তরের সহ। পরিচালক। ১৪/ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে।

‘সত্য পীরের পাঁচালি’ গ্রন্থের রচয়িতা- ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর।

তাঁর রচিত ‘অন্নদামঙ্গল’ কাবা প্রথম মুদ্রণ করেন- গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য, ১৮১৬ খ্রিস্টাব্দে। → মানসিংহ ভবানন্দ উপাখ্যান’ মালয়ের অধীন কারা তত্ত্বাবধায়ক : ১৩/ ‘নগাস্টক’ এবং ‘গঙ্গাস্টক’ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা-

ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।

‘চণ্ডীনাটক’ নাটকের রচয়িতা- ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর।

রবীন্দ্রনাথ ভারতচন্দ্রের কাব্যকে রাজকন্ঠের মণিমালার সাথে তুলনা করেছেন।

ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের পভুক্তি

| আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে বলে- ঈশ্বরী পাটনী কর্তৃক চণ্ডীদেবতাকে ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যে (১৯৩২ ও ২৩তম

বিসিএস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ( ক) – অধী পাসপোর্ট অধিনস্তরের সহকারী পরিচালক, ১১। পিসির সহকারী পরিচালক: ১৬

নগর পুড়িলে কি দেবালয় এড়ায়? “বড়র পিরীতি বালির বাঁধ!

মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীরের পাতন।

ক্ষণে হাতে দড়ি, ক্ষণেকে চাঁদ”। (আবহাওয়া অফিরের সহকারী আবার ৪)

মনে রাখুন :

© কালিকামঙ্গল বা বিদ্যাসুন্দরের আদিকবি কবি কছ

o সাবিরিদ খান লিখেছেন- বিদ্যাসুন্দর/ বিদ্যাসুন্দর’ গ্রন্থের অনুবাদক- সাবিরিদ খান। পরিবার পরিকল্পনা আল- ২০১৯ (উপ-সহকারী প্রকৌশলী সিভিল), রসুল বিজয়।

© রাম প্রসাদ সেন কবিরঞ্জন। নব রাজা কৃষ্ণচন্দ্র তাকে “কবিরঞ্জন” উপাধি প্রদান করেন।

জীবনী সাহিত্য

প্রশ্ন : জীবনী সাহিত্য বলতে কী বুঝায় ? (৩০তম বিসিএস লিখিত]

উত্তর : কোন বিখ্যাত ব্যক্তির জীবনীকে কেন্দ্র করে যে স্তুতিমূলক সাহিত্য রচিত হয়, তাই জীবনীসাহিত্য। মধ্যযুগে শ্রী চৈতন্যদেব ও তার কতিপয় শিষ্যের জীবনকাহিনী অবলম্বেন এই জীবনী সাহিত্যের সৃষ্টি। তবে এর মধ্যে চৈতন্য জীবনীই প্রধান। চৈতন্য দেব ছিলেন- বৈষ্ণব ধর্মের প্রচারক। করানোর ১৩. আমি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মরর্তী: ১৩)

চৈতন্যদেবের জীবনী গ্রন্থকে ‘কড়চা’ নামে অভিহিত করা হয়েছে।

→ চৈতন্যদেবের প্রথম জীবনী গ্রন্থ সংস্কৃত ভাষায় রচিত। প্রথম জীবনী লেখক মুরারি গুপ্ত। মুরারি গুপ্তের কড়চা নামে পরিচিত কাজের প্রকৃত নাম শ্রী শ্রী কৃষ্ণচৈতন্য চরিতামৃত।

বাংলা ভাষায় শ্রীচৈতন্যের প্রথম জীবনীকাব্য রচনা করেন বৃন্দাবন দাস (৪০তম বিসিএস শম পরিদপ্তরের জনসংখ্যা ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা ০৯। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, ০৬। কবি বৃন্দাবনদাসকে চৈতন্যলীলার ব্যাস বলা হয়েছে।

বাংলায় চৈতন্য দেবের দ্বিতীয় জীবনীগ্রন্থ লোচন নাসের চৈতন্যমঙ্গল।

চৈতন্যদেবের জীবনীভিত্তিক জীবনী গ্রন্থ

লোচন দাস- চৈতন্যমঙ্গল

গোবিন্দদাসের কড়চা জয়ানন্দ- চৈতন্যমঙ্গল কৃষ্ণদাস কবিরাজ চৈতন্যচরিতামৃত (১৬১৫) সৈराम राতम नदी ৰশ, শব-ই-মিরাজ

চুড়ামনিদাস – গৌরাঙ্গ বিজয় বৃন্দাবন দাস- চৈতন্য ভাগবত

অন্যান্য জীবনী গ্রন্থ

হরিচরণ দাস- অদ্বৈতমঙ্গল

ঈশান নাগর- অদ্বৈতপ্রকাশ

मून ব

→ বাংলা ভাষায় সর্বাপেক্ষা তথ্যবহুল শ্রীচৈতন্য জীবনী কাব্য ‘চৈতন্যচরিতামৃত’ কৃষ্ণদাস কবিরাজ কর্তৃক রচিত হওয়ায় তাঁকে চৈতন্য কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি বলা হয়। । ভূমি ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাঃ ১৩)

কড়চা

চৈতন্যদেবের জীবনীগ্রন্থকে ‘কড়চা’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। কড়চার অর্থও এই ব্যুৎপত্তির অনুরূপ- খসড়া রচনা, স্মারক লিপি, সংক্ষিপ্ত বক্তব্য। কড়চাকে দিনপঞ্জি বা রোজনামচা হিসেবে বিবেচনা করা চলে।

শ্রী চৈতন্যদের

শ্রী চৈতন্যদেব ১৪৮৬ খ্রি. ১৮ই ফেব্রুয়ারি শনিবার নবদ্বীপে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৫৩৩ খ্রি. পুরীতে মারা যান। চৈতন্যের বালা নাম বা পিতৃ প্রদত্ত নাম ছিল নিমাই। দেহবর্ণের

জন্য নাম হয় গোৱা বা গৌরাঙ্গ। তার প্রকৃত নাম ছিল ‘বিশ্বন্তর’।

তাঁর বিখ্যাত উক্তি- মুচি হয়ে শুচি হয় যদি কৃষ্ণ ভজে

সন্ন্যাস গ্রহণের পর শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য সংক্ষেপে চৈতনা নামে পরিচিত হন। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে যে ধর্মপ্রচারক-এর প্রভাব অপরিসীম- শ্রী চৈতন্যদেব। “

২৪ বৎসর বয়সে তিনি কাটোয়ার কেশব ভারতীর কাছে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন এবং শ্রীচৈতন্য’ নামে খ্যাত হন।

লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন: ধর্ম ও সমাজ সংস্কারক হিসেবে শ্রীচৈতন্যদেবের ভূমিকা লিখুন। অথবা,

বাংলা সাহিত্যে শ্রী চৈতন্যদেবের ভূমিকা

শ্রীচৈতন্যদেব বৈষ্ণবধর্মের যথেষ্ঠ সম্প্রসারণের মাধ্যমে এ দেশের হিন্দু সমাজে যে চেতনার সম্প্রসারণ করেছিলেন, তার প্রভাবে বৈষ্ণব সাহিত্যের অভূতপূর্ব বিকাশ ছাড়াও সাহিত্যের অপরাপর শাখায় বিচিত্রমুখী প্রতিফলন দেখা গিয়েছিল।

বাংলায় মুসলমানদের আগমনের মধ্য দিয়ে ব্রামাহ্মাণ্যবাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ নিম্ন শ্রেণির হিন্দুরা যখন সদলবলে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিতে আরম্ভ করেছিল, তখন চৈতন্যদের প্রেমধর্মের প্রচার করেন।

সামন্তযুগের অনুদার মতাদর্শকে অস্বীকার করে তিনি প্রচার করতে আরম্ভ করলেন জীবে দয়া, ঈশ্বরের ভক্তি এবং সকলের অধিকার। তাঁর প্রচারিত প্রেমধর্ম, প্রেমকথা বাঙালির জীবন চেতনায় বিচিত্র আনন্দ ও জাগরণ এনে দেয়।

এভাবেই বাংলা কাবা দেব-দেবীর স্তুতিমূলক ধারা থেকে বেরিয়ে এসে মানবধর্মের প্রশস্তিতে মেতে উঠে। তাঁর অনুসারীরা একের পর এক রচনা করেন কালজয়ী জীবনী সাহিত্য। এছাড়াও তিনি বাংলা সাহিত্যে একটি পঙক্তি না লিখলেও তাঁর নামে একটি যুগের সৃষ্টি হয়েছে।

যন্ত্ৰগোস্বামী, ঘুরা ও গৌরচন্দ্রিকা

ষড়গোস্বামী : শ্রীচৈতন্যের প্রত্যেক শিষ্য এবং পরম ভক্তদের মধ্যে ছয়জনকে ষড়গোস্বামী বলা হয়। এরা হলেন রঘুনাথ ভট্ট গোস্বামী, রঘুনাথ দাস গোস্বামী, গোপাল ভট্ট গোস্বামী, সনাতন গোস্বামী, রূপ গোস্বামী ও জীব গোস্বামী। ধুয়া : একটান নির্দিষ্ট স্তরে একটি পদ গান করলে তাকে ধুয়া বলে। প্রাচীন বাংলা সাহিত্যে প্রত্যেক অধ্যায়ের সূচনায় নির্দিষ্ট

সুর-তাল-লয়ে একটি পদ থাকত। এটি ধ্রুব পদটিই ধূয়া। গৌরচন্দ্রিকা : রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক পালাগানের ভূমিকারূপে গৌরাঙ্গের জীবনে অনুরূপ ঘটনার অনুবর্তন হয়েছিল তা স্মরণ করে রচিত গৌরলীলার পদকেই গৌরচন্দ্রিকা।

মর্সিয়া সাহিত্য

লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন : মর্সিয়া সাহিত্য সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখুন।

মর্সিয়া কথাটি আরবি য়ের অধীনে সহকারী 01 / বোর্ডের কর্মকর্তা ৪৭), যার অর্থ শোক প্রকাশ করা অর্থাৎ

মর্সিয়া এক ধরনের শোককাব্য বা শোকগীতি (পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস সহকারী, ১৮, আনসার ও ভিডিপি অধিকারের সার্কেল অ্যাডজুটেন্ট ১০০ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক: ১১। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে সহকারী পরিচালক। ০৬। আরবি সাহিত্যে মর্সিয়ার উদ্ভব নানা ধরনের শোকাবহ ঘটনা থেকে হলেও পরে তা কারবালা প্রান্তরে নিহত ইমাম হোসেন ও অন্যান্য শহীদকে উপজীব্য করে লেখা কবিতা মর্সিয়া নামে আখ্যায়িত হয়। আরবি সাহিত্য থেকে মর্সিয়া কাব্য ফারসি সাহিত্যে স্থান পায়। ভারতে মোঘল আমল শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে এদেশে ফারসি ভাষায় মর্সিয়া প্রচলিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলা ভাষায় মর্সিয়া সাহিত্যের প্রচলন।

→ বাংলা মর্সিয়া সাহিত্যের আদি কবি শেখ ফয়জুল্লাহ। তিনি রচনা করেন ‘জয়নবের চৌতিশা (১৫৭০) ।

মনসামঙ্গল কাব্যের কাহিনি সংক্ষেপে

বাংলা সাহিত্যে মঙ্গলকাব্য ধারায় সবচেয়ে পুরাতন নিদর্শন হচ্ছে ‘মনসামঙ্গল কাব্য’। সাপের দেবী মনসার কাহিনি নিয়ে রচিত কাব্য মনসামঙ্গল কাব্য। মর্ত্যে মনসার পূজা প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজের নেতৃত্বস্থানীয়দের পূজার প্রয়োজন।

চম্পকনগরের প্রভাবশালী বণিক শিবের ভক্ত চাঁদ সওদাগর প্রথমে পূজা দিতে অস্বীকার করে। ক্রোধান্বিত মনসা দেবী সপ্তডিঙ্গা পানিতে ডুবিয়ে দিয়ে চাঁদ সওদাগরকে ধনহারা করে এবং ছয় পুত্রকে হত্যা করে।

চাঁদ সওদাগর পুত্র লখিন্দরের নবজীবন ও ধনলাভের বিনিময়ে পূজা দিতে রাজি হয়। এভাবে মর্ত্যের লোকসমাজে মনসার পূজা প্রতিষ্ঠিত হয়। চৈতন্য-পূর্ব যুগ থেকেই এই কাহিনি নদ-নদী পরিবেষ্টিত গ্রাম বাংলার সর্প ভয়ে ভীত সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়।

চণ্ডীমঙ্গল

আদিকবি- মানিক দত্ত (অন্ধ ও খোঁড়া ছিলেন)। (চৌদ্দ শতক)

শ্রেষ্ঠ কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী। সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ শিং ২০১৫। এ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের সহ পরি ০৭, জনপ্রশাসন মন্ত্রালয়ের অতি কর্মকর্তা, ১৫। সর না দি অতিসার। ১০/ উপাধি- কবি কঙ্কন। (পরিবেশ অধিদপ্তরের সহ পরিচালক (র) ১১ অধীন কারা তত্ত্বাবধায়ক: ১০) মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে মানব রসের প্রথম ও একমাত্র স্রষ্টা সৰ্বাধিক জনপ্রিয় কবি মুকুন্দরাম জন্মগ্রহণ করেন- বর্ধমান জেলার দামুন্যা গ্রামে। তাঁর পিতা এবং মাতা- হৃদয় মিশ্র এবং দৈবকী। তাঁকে মুকুন্দরাম চক্রবর্তীকে ‘কবিকঙ্কণ’ উপাধি দেন- মেদিনীপুর জেলার অড়রা গ্রামের জমিদার রঘুনাথ রায়।

• চণ্ডী নামক লৌকিক পৌরাণিক দেবীর পূজা প্রচারের কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত কাব্য

প্রধান চরিত্র- কালকেতু, ফুল্লরা, ভাঁড় দত্ত । টিআই-এর উপরের ১৯।, ধনপতি সওদাগর, লহনা, খুলনা। বাংলা সাহিত্যের প্রথম ঠগ চরিত্র- ভাঁড়ুদত্ত। – চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের কাহিনী দুই খণ্ডে বিভক্ত- আক্ষেটিক খণ্ড ও বণিক খণ্ড ।

আক্ষেটিক খণ্ডে বর্ণিত হয়েছে- ব্যাধ দম্পতি কালকেতু ও ফুল্লরার কাহিনি।

বণিক খণ্ডে বর্ণিত হয়েছে- নায়ক ধনপতি সওদাগার ও তার দুই স্ত্রী- লহনা ও খুলনার কাহিনি। “পিপীলিকার পাখা হয় মরিবার তরে’ উক্তিকারী- ফুলৱা: চণ্ডীমঙ্গলে।

‘স্বভাব কবি’ বলা হয়- কবি দ্বিজ মাধবকে।

ধর্মমঙ্গল

০ আদিকবি- ময়ূর ভট্ট।

০ শ্রেষ্ঠ কবি ঘনরাম চক্রবর্তী।

০ প্রণেতা- রূপরাম চক্রবর্তী। সমাসন্য ১৬/ o ধর্মঠাকুর নামক পুরুষ দেবতার মাহাত্ম্য প্রচারের জন্য রচিত।

০ আদি কবি ময়ূর ভট্ট (কাব্য- হাকন্দ পুরাণ)।

০ কাহিনি : ১৫-১৮ শতকে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম, বর্ধমান, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর ইত্যাদি অঞ্চলে ধর্মঠাকুর/ ধর্ম নামের দেবতাকে নিম্ন শ্রেণির হিন্দুরা পূজা করত। এই কাহিনি অবলম্বনে রচিত কাব্যই মঙ্গলকাব্য

০ রচয়িতা- ময়ূর ভট্ট, আদি রূপরাম, খেলারাম চক্রবর্তী, শ্যাম পণ্ডিত, ঘনরাম চক্রবর্তী, নরসিংহ বসু। o ধর্মমঙ্গলের চরিত্রসমূহ – লাউসেন, হরিশ্চন্দ্র, কর্পূর সেন,মহামদ পাত্র।

০ কাব্য বিভক্ত- ২টি পালায় (রাজা হরিশ্চন্দ্রের গল্প ও লাউসেনের গল্প)।

অন্নদামঙ্গল

→ প্রধান কবি : ১৮ শতকের ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর। সহকারী পরিকল্পনা অফিসার ১৩/

— ভারতচন্দ্র মধ্যযুগের/মঙ্গলযুগের সর্বশেষ ২৮ তম বিসিএস। সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসার ১০) প্রধান কবি/ শ্রেষ্ঠ কবি (৬ বিজেএস। বাংলাদেশ ব্যাংক সহ, পরি: ০৪/ বাংলা সাহিত্যের ১ম নাগরিক কবি।

চরিত্র হিরামালিনী, ঈশ্বর পাটনী

অন্নদা দেবীর মহাত্মা প্রচারে ভবানন্দ মজুমদারের জীবন কাহিনী অবলম্বনে তিনটি খণ্ডে রচিত। যথা : শিবনারায়ণ, কলিকামঙ্গল (বিদ্যাসুন্দর), মানসিংহ- ভবানন্দ।