বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮১৪) | Bankim Chandra Chatterjee বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – উইকিসংকলন একটি মুক্ত পাঠাগার
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৩৮ সালের ২৬ জুন (১৩ আষাঢ় ১২৪৫ ) পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আদিনিবাস- হুগলী জেলার দেশমুখো গ্রাম। ছদ্মনাম- কমলাকান্ত। বাংলা সার্থক উপন্যাস সাহিত্যের স্থপতি। পিতা যাদব চন্দ্ৰ চট্টোপাধ্যায়।
o ১৮৫৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এন্ট্রান্স পরীক্ষা প্রবর্তিত হলে তাতে অংশগ্রহণ করে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৮৫৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ব্যাচের দশজন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র দুজন ছাত্র বি.এ. পাশ করেন। বঙ্কিমচন্দ্র ও যদুনাথ বসু। সেসূত্রে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গ্রাজুয়েট।
o বাংলা উপন্যাসের জনক। কারন তিনিই প্রথম পাশ্চাত্যরীতি অবলম্বন করে সার্থক উপন্যাস রচনা করেন।
o ১৮৫৮ সালেই যশোরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদে নিয়োগ লাভ করেন। ৩০ বছর
চাকুরী করার পর ১৮৯১ সালে অবসর গ্রহণ করেন। o ১৮৯৪ সালের ৮ এপ্রিল (২৬ চৈত্র ১৩০০) বহুমূত্ররোগে আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় মারা যান।
সাহিত্যকর্ম
o ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকায় কবিতা প্রকাশের মাধ্যমে সাহিত্যিক
হিসেবে যাত্রা শুরু। o উপন্যাস তার মোট ১৪ টি উপন্যাস প্রকাশিত হয়।
• Rajmohan’s Wife (১৮৬২, ইংরেজি উপন্যাস)
দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫)। বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস। ‘দুর্গেশনন্দিনী’ শব্দের অর্থ দুর্গ প্রধানের কন্যা। এ উপন্যাসের প্রতিক্রিয়ায় ইসমাইল হোসেন সিরাজী ‘রায়নন্দিনী’ উপন্যাস লিখেন।
• কপালকুণ্ডলা (১৮৬৬)। বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক উপন্যাস। কেন্দ্রীয় চরিত্র- নবকুমার ও কপালকুলো। কপালকুণ্ডলার অপর নাম ‘মৃন্যয়ী”। এর উল্লেখযোগ্য সংলাপ-
পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ কপালকুণ্ডলা নবকুমারকে বলে। তুমি অধম, তাই বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন? প্রদীপ নিবিয়া গেল।
উল্লেখ্য ‘কপালকুণ্ডলা‘ উপন্যাসের পরিপুরক বলা হয় দামোদর মুখোপাধ্যায়ের “শূন্যয়ী” উপন্যাসকে।
প্রেক্ষাপটে রচিত। বিষবৃক্ষ (১৮৭৩)
মৃণালিনী (১৮৬৯)। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে বাংলায় তুর্কি আক্রমণের
যুগলাঙ্গরীয় (১৮৭৪) • চন্দ্রশেখর (১৮৭৫)
কৃষ্ণকান্তের উইল (১৮৭৮)
• রাজসিংহ (১৮৮২)। একটি রাজনৈতিক ঐতিহাসিক উপন্যাস। মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব ও রাজপুত রাজা রাণা রাজসিংহের মধ্যে যে যুদ্ধ হয়েছিল, সেটাই উপন্যাসের মূল বিষয়। অনেকেই মনে করেন এতে বঙ্গিমের সম্প্রাদায়িক মনোভাব পরিস্ফুট হয়ে উঠে। এর জবাবে ইসমাইল হোসেন সিরাজী ‘তারাবাঈ’ উপন্যাস লিখেন।
• আনন্দমঠ (১৮৮২)। ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের পটভূমিকায় সন্ন্যাসী বিদ্রোহের কাহিনি অবলম্বনে রচিত। এতে ‘বন্দে মাতরম সঙ্গীতটি সংযোজিত আছে। এ উপন্যাসে মুসলমান সম্পর্কে বক্রোক্তির জবাবে ইসমাইল হোসেন সিরাজী ‘বভিন্ন দুহিতা’ উপন্যাস লিখেন।
• দেবী চৌধুরাণী (১৮৮৪)। দেবী চৌধুরানী হচ্ছেন রংপুরের পীরগাছার যন্ত্রনার জমিদার। রংপুর অঞ্চলের কৃষক বিদ্রোহ, ফকির সন্ন্যাসী আন্দোলন নেত্রী। ইংরেজ বিরোধী অনেকগুলো সফল অভিযানের পর ১৭৮৩ সালে স্বয়ং ওয়ারেন হেস্টিংসের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে তিনি নিহত হন। পরবর্তীতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রংপুর জেলার ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালনকালে ঘটনা জানতে পারেন এবং রচনা করেন ‘দেবী চৌধুরাণী’ উপন্যাস। উপন্যাসটি ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার ১২৮৯ বঙ্গাব্দের বৈশাখ সংখ্যা থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ১৮৮৪ সালে।
রাধারাণী (১৮৮৬)
সীতারাম (১৮৮৭, সর্বশেষ উপন্যাস)
o ত্রয়ী উপন্যাস- আনন্দমঠ (১৮৮২), দেবী চৌধুরাণী (১৮৮৪), সীতারাম (১৮৮৭)
o কাব্যগ্রন্থ- ললিতা তথা মানস (১৮৫৬)
- লোকরহস্য (১৮৭৪)
- বিজ্ঞানরহস্য (১৯৭৫)
- বিবিধ সমালোচনা (১৮৭৬)
• সাম্য (১৮৭৯)।
- কৃষ্ণচরিত্র (১৮৮৬)
• ধর্মতত্ত্ব অনুশীলন (১৮৮৮)
• শ্রীমদ্ভগবদগীতা (১৯০২)।
o কমলাকান্ত বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্রবন্ধ সংকলন ‘কমলাকান্ত’। এটি নকশা জাতীয় রম্যরচনা। এর তিনটি অংশ-
১. কমলাকান্তের দপ্তর (১৮৭৫)
২. কমলাকান্তের পত্র
৩. কমলাকান্তের জবানবন্দি।
o সম্পাদিত পত্রিকা
• ‘বঙ্গদর্শন’ (১৮৭২) পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। পত্রিকাটি মাত্র চার বছর (১৮৭২-৭৫) স্থায়ী ছিল।
উপাধি
• সাহিত্য রসবোদ্ধাদের কাছ থেকে সাহিত্য সম্রাট।
হিন্দু ধর্মানুরাগীদের কাছ থেকে ঋষি আখ্যা লাভ করেন।
• নিষ্ঠার সাথে ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতি স্বরূপ বৃটিশ সরকার ‘রায় বাহাদুর’ (১৮৯১)
Companion of the Most Eminent Order of the Indian
Empire (১৮৯৪)।
জেনে রাখা ভাল কথাসাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় তাঁর সহোদর।
বাংলার স্কট ‘বঙ্কিমচন্দ্র
ওয়াল্টার স্কট স্কটল্যান্ডের বিখ্যাত উপন্যাস রচয়িতা এবং কবি। পুরো ইউরোপ জুড়ে তার জনপ্রিয়তা ছিল। ওয়াল্টার স্কটের ইংরেজি উপন্যাসের আদলকে আদর্শ ধরেই বঙ্কিমচন্দ্র বাংলা উপন্যাস রচনা করেছেন। এজন্য তাকে ‘বাংলার স্কার্ট’ বলা হয়। গ্রন্থপরিচিতি
দুর্গেশনন্দিনী :– বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস ‘দুর্গেশনন্দিনী’ (১৮৬৫)। ১৯৬২ সালে ছাব্বিশ বছর বয়সে বমিচন্দ্র দুর্গেশনন্দিনী উপন্যাস রচনায় হাত দেন।
১৮৬৩ সালে খুলনার ডেপুটি ম্যাজিট্রেটের দায়িত্ব পালনকালে এ উপন্যাস রচনা শেষ করেন এবং এটি প্রকাশিত হয় ১৮৬৫ সালে।
উপন্যাসের কাহিনি এরূপ- দিল্লীশ্বরের সেনাপতি মানসিংহের পুত্র কুমার জগৎসিংহ বিষ্ণুপুর থেকে মান্দারণ যাত্রাকালে ঝড়ের কবলে পড়ে শৈলেশ্বর মহাদেবের মন্দিরে আশ্রয় নেন।
সেখানে ঘটনাচক্রে মান্দারণ দুর্গাধিপতি মহারাজ বীরেন্দ্র সিংহের কন্যা তিলোত্তমার সাথে সাক্ষাত না। জগৎসিংহ ও তিলোত্তমা, নিজেদের প্রকৃত পরিচয় গোপন রাখলেও দুজন দুজনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। পরে পাঠান সেনাপতি ওসমান খাঁ সুকৌশলে মান্দারণ দুর্গ দখল করে বীরেন্দ্র সিংহ, স্ত্রী বিমলা ও কন্যা তিলোত্তমাকে বন্দী করে।
পাঠান নবাব প্রহসনের বিচারের নামে কত মান মাধ্যমে বীরেন্দ্র সিংহকে হত্যা করে। এদিকে বিমলা কতল খাঁকে হত্যা করে স্বামী হত্যার প্রতিশোধ নেয়। পাঠানেরা কুমার জগৎসিংহের মাধ্যমে অম্বররাজ मiafire cer দিল্লীশ্বরের সঙ্গে সন্ধি করে।
পরিশেষে মান্দারণ পুনরায় স্বাধীন হয় ও দিল্লীশ্বরের প্রধান সেনাপতি অম্বররাজ মানসিংহের মাধ্যমে মহারাণী বিমলার হতে রাজ্যপাঠ হস্তান্তর করে এবং মহাধুমধামের সাথে কুমারজগৎ সিংহ এবং দুর্গেশনন্দিনীর তিলোত্তমার মিলন ঘটে।
উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্রের মধ্যে রয়েছে- বীরেন্দ্র সিংহ, ওসমান, তিলোত্তমা, আয়েশা, বিমলা প্রমুখ।
কপালকুণ্ডলা :- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বাংলা সাহিত্যের দ্বিতীয় সার্থক উপন্যাস কপালকুণ্ডলা (১৮৬৬)। অরণ্যে কাপালিক পালিতা কপালকুণ্ডলা সামাজিক সংস্কারের সঙ্গে অপরিচিতা, নবকুমারের সাথে বিয়ে এবং তার সমাজ বন্ধনের সাথে দ্বন্দ্বই এর মূল কাহিনি।
তীর্থ যাত্রীদের নৌকা পথ হারিয়ে এক মোহনায় উপস্থিত হলে নবকুমার বনের মধ্যে কাঠ আনতে যায়। কিন্তু জোয়ার এসে নৌকা ভাসিয়ে নিলে নরকুমার সে বে একাই থেকে যায়। সেখানে তার দেখা হয় এক কাপালিকের সাথে। কাপালিক তাকে
ভৈরবীর কাছে বলি দিতে চায়। কিন্তু কাপালিকের আশ্রিতা কন্যা কপালকুণ্ডলার সহায়তায় নবকুমার পালিয়ে বাঁচে। পরে নবকুমার কপালকুণ্ডলাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে তার বাড়ীর পথে যাত্রা শুরু করে। পথিমধ্যে নবকুমারের ধর্মান্তরিত পূর্ব স্ত্রী মতি তাদের দেখে চিনতে পারে।
এরপর থেকে সে চেষ্টা করে কপালকুণ্ডলা ও নবকুমারের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাতে। এদিকে কাপালিকও আসে কপালকগুলাকে বলি দেওয়ার জন্য নিয়ে যেতে। মতি কাপালিকের সাথে হাত মিলিয়ে নানা কৌশলে কপালকুণ্ডলাকে তা হাতে তুলে দিতে চায়। একপর্যায়ে নবকুমার সব বুঝতে পারে।
উপন্যাসের শেষে দেখানো হয় স্রোতময় নদীর তাঁর থেকে কপালকুণ্ডলা হারিয়ে যায়, আর তাকে খুঁজতে নরকুমার নদীতে নামে। তাদের কেউ আর ফিরে আসে না- এখানেই উপন্যাস শেষ হয়।
বিষবৃক্ষ :- বঙ্কিমচন্দ্রের চতুর্থ উপন্যাস ‘বিষবৃক্ষ” । এটি সামাজিক উপন্যাস। উপন্যাসটি ১৮৭২ সালে বঙ্গদর্শন পত্রিকায় বারটি কিস্তিতে প্রকাশিত হয়। গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। ১৮৭৩ সালের ১ জুন। ‘বিষবৃক্ষ’ উপন্যাসের পটভূমি বিধবাবিবাহ আইন পাশ হওয়ার সমসাময়িক কাল।
উপন্যাসের কাহিনি এরূপ- গোবিন্দপুরের জমিদার নগেন্দ্রনাথ দত্ত কলকাতা যাত্রার পথে অনাথা বালিকা কুন্দনন্দিনীকে অসহায় অবস্থা থেকে উদ্ধার করে কলকাতায় বোন কমলমনির কাছে রেখে আসে। পরে স্ত্রী সূর্যমুখীর অনুরোধে তাকে গোবিন্দপুরে নিয়ে আসে। সূর্যমুখীর দূরসম্পর্কীয় ভাই তারাচরণের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই কুন্দ বিধবা হয়। এরপর ঘটনাক্রমে কুন্দ-নগেন্দ্র দু’জন দু’জনার প্রতি আকৃষ্ট হয়।
অন্যদিকে দেবীপুরের দুশ্চরিত্র জমিদার দেবেন্দ্র হরিদাসী বৈষ্ণবীর বেশে নগেন্দ্রর বাড়িতে এসে কন্দকে কুপ্রস্তাব দেয়। হরিদাসী বৈষ্ণবীর ঘটনায় সূর্যমুখী কর্তৃক অপমানিতা হয়ে কুন্দ আত্মহত্যা করতে চেয়েও ব্যর্থ হয়, পরে গৃহত্যাগ করে।
তার অদর্শনে নগেন্দ্র সূর্যমুখীর প্রতি রুষ্ট হন এবং গৃহত্যাগের সংকল্প করেন। এমতাবস্তায় কুন্দ ফিরে এলে সূর্যমুখী স্বামীর সঙ্গে কুন্দকে বিয়ে দিয়ে গৃহত্যাগ করে ঘুরতে ঘুরতে রোগাক্রান্ত হলে এক ব্রহ্মচারী তাকে সুস্থ করে নগেন্দ্রনাথকে সংবাদ পাঠায়। পরে উভয়ের পুর্নমিলন ঘটে।
অপরদিকে নগেন্দ্রনাথ গৃহে ফিরে কুন্দর সঙ্গে দেখা না করায় কুন্দ বিষপান করে। পরদিন সকালে সূর্যমুখী যখন কুন্দকে দেখতে আসেন, তখন তার অন্তিম সময় আসন্ন। শেষে নগেন্দ্রনাথের পায়ে মাথা রেখে কুন্দ ইহলোক ত্যাগ করে
কৃষ্ণকান্তের উইল :- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সামাজিক উপন্যাস ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ (১৮৭৮)। উপন্যাসে রোহিনী, গোবিন্দলাল ও ভ্রমরের ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। স্ত্রীর বর্তমানে বিধবা নারীর প্রতি পুরুষের প্রেমাসক্তির কুফল এ উপন্যাসের মূল প্রতিপাদ্য। এ উপন্যাসের অন্যতম আলোচিত তথা বাংলা সাহিত্যের এক অমর চরিত্র ‘রোহিনী”।
প্রথমেই সে সম্পত্তির উইল চুরি করে কৃষ্ণকান্তের সাথে প্রতারণা করে হরলালকে বিয়ে করার জন্য কিন্তু হরলালও রোহিনীর সাথে প্রতারণা করে। তারপর সে প্রেমে পড়ে কৃষ্ণকান্ত রায়ের ভাতুষ্পুত্র, ভ্রমরের স্বামী গোবিন্দলালের।
গোবিন্দলাল তাকে ফিরিয়ে দিলে বার্থ যৌবনের হাহাকারে সে বার বার আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তবে এক সময় বাল্যবিধবা রোহিনীর অসাধারণ রূপ ও সব কাজের পটুতা গোবিন্দলালকে আকর্ষণ করে। সে রোহিনীর প্রেমে সাড়া দিয়ে তাকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে তার শ্বশুর কন্যা ভ্রমরের সংসার ও জীবন বাঁচানোর জন্য রোহিনী ও গোবিন্দলালকে আলাদা করার কৌশল অবলম্বন করে। সে নিশাকরের মাধ্যমে একটি ফাঁদ পাতে। রোহিনী সে ফাঁদে পা দিয়ে ধরা পড়ে এবং গোবিন্দলালের পিস্তলের গুলিতে প্রাণ হারায়। তখন গোবিন্দলাল ভ্রমরকে ফিরে পাবার